রিপোর্ট প্রিন্ট

শেয়ার করুনঃ



একটি লোমহর্ষক পরিসংখ্যান। শূকরের গোশত ও চর্বি মিশ্রিত খাবার থেকে সাবধান!


শূকরের গোশত ও চর্বি মিশ্রিত খাবার থেকে সাবধান!
দেশের স্কুলগুলোতে, প্রত্যন্তগ্রামে আজ সেবার নামে, পুষ্টিকর খাবার বিতরণের নামে নানাজাতের বিদেশি বিস্কুট ও খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হচ্ছে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার মাধ্যমে। হতদরিদ্র মানুষগুলো যেখানে দুবেলা খাবার খেতে পায় না পেটভরে, সেখানে প্যাকেট-প্যাকেট মচমচে সুস্বাদু বিস্কুট হাতে পেয়ে আর ফিরে তাকানোর চেষ্টা করে না, কে আমাদেরকে এ বিস্কুট,গুড়োদুধের প্যাকেট আর খাবার প্যাকেট দিল? আর কেমন খাবার আমরা খাচ্ছি? আমরা ভাবি, কত দয়ালু এসব লোকগুলো! আমার ত্রাণকর্তা হয়ে আবির্ভূত হয়েছে! আমরা কি একটু চিন্তা করে দেখেছি, ভবিষ্যতে এরাই এসে তাদের খোদার খোদায়িত্বের দিকে আহবান করবে। নতুবা খাবার দেবে না।

আজকের এ ভালমানুষী যে একটি টোপ আমরা তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারছি না! সমাজের দায়িত্বশীল লোকদের হাত দিয়েই এসব বিস্কুট, গুড়োদুধ বিভিন্ন এনজিওদের দেওয়া খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। সমাজের দায়িত্বশীলদের উচিত, এসব বিস্কুট, গুড়োদুধ এবং এনজিওগুলোর দেওয়া খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করার পূর্বে, খাওয়ার আগে একবার দেখে নেওয়া, কোনদেশের, কোন কোম্পানির এসব খাবার আপনার হাতে আসছে? ইসলাম-মুসলমানদের নাম শুনলে যেখানে ইহুদি-খৃস্টানদের নাক কুচকে যায়, চেহারায় ভাজ পড়ে যায়, সেখানে তাদের অর্থে লালিত-পালিত এসব সংস্থাগুলোর হতদরিদ্র মুসলামানদের, মুসলিমদেশের প্রতি হঠাৎ এত ভালবাসা কীভাবে জন্ম নিল? একদিকে মুসলমানদের বংশ ধ্বংস করতে ছোট ছোট শিশু ও নারীদের নির্বিচারে বোমা মেরে জীবন্ত কবর দিয়ে দিচ্ছে, আবার তারাই মুসলিম শিশুদের জন্য এত মমতা নিয়ে পোলিও টিকা, পুষ্টিকর খাবার, বিস্কুট, গুড়োদুধের প্যাকেট নিয়ে হাজির হচ্ছে? বিপরীতধর্মী এ চেহারার পেছনে কি অন্যকোনো উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে? তাহলে কি একথা ধরে নেওয়া যায়, যেসব মুসলিমদেশে তারা সুবিধা করতে পারছে না, কর্তৃত্ব খাটাতে পারছে না, তাদেরকে বোমা মেরে কবর দিয়ে দিচ্ছে? আর যেখানে তাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা উজ্জ্বল—তাদের ঈমানকে নড়বড়ে করে দিয়ে দলে ভেড়াতে এসব সন্দেহমূলক খাবার খাইয়ে ঈমানহারা করার ষড়যন্ত্র করছে?তাই, এসব খাবার খাওয়ার আগে, বিতরণ করার আগে নিচের বিষয়গুলো যাচাই করে নিন, আপনাকে, আপনার সন্তানকে, এদেশের জনগণকে তারা কেমন খাবার খাওয়াচ্ছে- পুষ্টিকর খাবারের ঝাঝালো স্লোগান দিয়ে! নতুবা এসব খাবার খেয়ে যদি তারা ঈমানহারা হয়, তবে শেষবিচারের দিন এজন্য দায়িত্বশীলদের জবাবদিহি করতে হবে! দেখে নিন, এতে তারা হারাম বা শূকরের চর্বি, হাড়, মাংসের উপাদান মিশ্রিত খাবার বিতরণ করছে কি-না? একটি পণ্য কিনতে গেলে তা যাচাই করে দেখুন, তা হালাল না হারাম! কী উপাদান দিয়ে তা তৈরি হয়েছে, কোথায় হয়েছে! যেসব খাবার ও পণ্যে শূকরের মাংস ও তার অংশবিশেষ ব্যবহার করা হয়ে থাকে :১. ছোটদের ও বড়দের জন্য তৈরি বিভিন্ন ব্রান্ডের গুড়ো দুধ ।

২. ইউরোপ, আমেরিকার তৈরি সাবান, ক্রিম, বিভিন্ন প্রকার খাদ্য যেমন: চকোলেট, বিস্কুট, পনির, রুটি ও অন্যান্য পানীয় সামগ্রী

৩. বিদেশি আচার, জেম-জেলি ইত্যাদি কেনার সময় হুশিয়ার থাকবেন, ইউরোপ, আমেরিকা, ইসরাইলে জেলেটিন ব্যতীত এসব পণ্য তৈরি হয় না! আর জেলেটিন হচ্ছে, শূকরের চামড়া ও হাড় থেকে তৈরি উপাদান ।

বিভিন্ন দেশে শূকরের বিভিন্ন নাম রয়েছে। যেমন: সোয়াইন, হুগ, পিগ । তার গোশতের নাম হচ্ছে, বেকন, হার্ম, স্পার্কেল, পর্কার আর শূকরের চর্বিকে বলা হয়, লার্ড, জেললো টেলো। পেপসিন শূকরের রক্ত মিশ্রিত একটি ঔষুধ! কলগেট ও বারডেন ফুড কোম্পানির তৈরি টুথ পেস্টের মধ্যেও শূকরের চর্বি দেওয়া হয়। জেলেটিনও একটি তরল পদার্থ, যার অধিকাংশ উপাদানই হচ্ছে শূকরের চামড়া ও খুর থেকে তৈরি ।

আমাদের নিজেদের ঈমান রক্ষার স্বার্থেই এসব বিষয়গুলো পরিহার করা উচিত।

 (দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে এবিষয়ে বিস্তারিত একটি ফায়া প্রকাশ করা হয়। সেই প্রকাশিত ফাতওয়ার তথ্যের আলোকে এ আলোচনাটি সাজানো হয়েছে।)


তথ্য সূত্রঃ 
বইঃ দাজ্জাল আসছে ঈমান বাঁচাও 
পৃষ্ঠা নংঃ - ৯৪ 

0/আপনার মতামত জানান