রিপোর্ট প্রিন্ট

শেয়ার করুনঃ



চলমান ইস্যু। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর অপচেষ্টা।

 


ক্লিয়ার বিষয় : 

নওগাঁর স্কুলে হিজাব পরায় পিটুনির ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন বের হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে দাবী করা হয়েছে, হিজাব নয় ইউনিফর্ম না পরে আসায় পিটুনির ঘটনা ঘটেছে। 



পারষ্পরিক দ্বন্দ্ব থেকে  কিছু শিক্ষক ও কমিটির সদস্য বিষয়টি হিজাবের দিকে নিয়ে যায়।


ধরে নিলাম, তদন্ত কমিটির তদন্ত সঠিক। 

তাহলে তদন্ত অনুসারে পেছন থেকে কে ‘হিজাব ভার্সেস হিন্দু শিক্ষিকা’ গুজব রটালো ?

উত্তর : প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ।

যে নিজেও একজন হিন্দু। 

(https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/হিজাব-নয়-স্কুলড্রেস-না-পরায়-শিক্ষার্থীদের-পেটানো-হয়-তদন্ত-কমিটি, https://www.newsbangla24.com/news/187215/Amodini-sails-in-hijab-debate-in-the-plan-of-Dharani-Kant?)


এরপর যদি টিপ কাণ্ড দেখেন। 

টিপকাণ্ডেরও তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে। 

সেখানে উল্টো পার্শ্ব দিয়ে বাইক চালানোকে কেন্দ্র করে বাক-বিতণ্ডার সত্যতা মিলেছে। 

কিন্তু টিপকে কেন্দ্র করে কোন বাক-বিতণ্ডার সত্যতা মিলেনি। 


তাহলে কথা হচ্ছে, ঐ দিনের উল্টাপার্শ্বের বাইক নিয়ে বাকবিতণ্ডাকে কে-

হিন্দু নারীর টিপ ভার্সেস দাড়িওয়ালা পুলিশ সদস্য বলে প্রচার করেছিলো ?

উত্তর- লতা সমাদ্দার, যিনি একজন হিন্দু নারী।

(https://dhakamail.com/national/10488)


আপনারা জানেন- কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে একটা খবর ভাইরাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে-

ময়মানসিংহে এক স্কুলে এক হিন্দু ছাত্রীকে নাকি জোর করে হিজাব পরার ঘটনা ঘটেছে। 

কিন্তু সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা যায়,  ঐ হিন্দু ছাত্রী মুসলিম বান্ধবীদের সাথে ম্যাচিং করে হিজাব পরেছিলো। সেটা দেখে ঐ স্কুলের এক হিন্দু শিক্ষিকা গোপা সরকার তার ছবি তুলে রাখে। এরপর সেই ছবি সে সরবরাহ করে এনজিও সদস্য জয়ন্তকর নামক এক ব্যক্তির কাছে। সে সেই ছবি পাঠায় অরবিন্দ পাল নামক আরেক হিন্দু শিক্ষকের কাছে। এরপর সেই ছবিটা পেয়ে ফেসবুকে ভাইরাল করে দেব দুলাল মুন্না নামক প্রবাসী এক ব্যক্তি। অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক বিভ্রান্তি ছড়ানোর পেছনে কাজ করে ৪ জন হিন্দু ব্যক্তি।

(https://www.facebook.com/JamunaTelevision/videos/1023639298529914/)


অর্থাৎ প্রতিটি ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক রুপ কিন্তু কোন মুসলিম দেয়নি, দিয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। 


এজন্য আমি প্রায়শই বলি বাংলাদেশের মুসলমানদের মনের ভেতর সাম্প্রদায়িকতা নেই, 

কথা ক্লিয়ার, সাম্প্রদায়িকতা আছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মনের ভেতর। সেটাই মাঝে মাঝে বের হয়ে পরে।

এবং সেই উগ্র সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বাংলাদেশের হিন্দু রা নির্যাতিত হচ্ছে এমন গল্প ফেঁদে মুসলমানদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে।  এই ঘটনা গুলো তার বাস্তব প্রমাণ।

0/আপনার মতামত জানান