চট্টগ্রামে ইসলামিক দাঈ ও ইমাম নওমুসলিম ওমর ফারুক কে পরিকল্পিত ভাবে ফায়ার করে হত্যা করা হয়েছে। এ নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামের নওমুসলিম ওমর ফারুক কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যার প্রতিবাদী আওয়াজ উঠেছে, শুরু হয়েছে সারাদেশে প্রতিবাদের তীব্র ঝড়, থেমে নেই ন্যায়ের পথিকদের সাহসী কলম।
(ওমর ফারুক) যাকে পরিকল্পিত ভাবে ফায়ার করে হত্যা করা হয়েছে তিনি কেবল একজন নওমুসলিম-ই নন বরং তিনি ইসলামের একজন ধারক-বাহক। সেখানে তিনি ৫টি মুসলিম পরিবারের জন্য নামাজের স্থান তথা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন, তিনি একজন ইমাম, তিনি একজন মসজিদের জমিদাতা, ইসলামের জন্য তার ত্যাগ-কষ্ট গুলো অতুলনীয়।
অনেকেই ভাবছেন যে, তিনার কারণে সেখানে ইসলামের খুব-ই উপকার হচ্ছে যাতে ঐ অঞ্চলে ইসলামের দাওয়াত না পৌছাতে পারে তাই হয়তো পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছেন (খৃষ্টান মিশনারী) দুরবৃত্তরা। তাঁর হত্যারকারী হিসেবে নিশ্চিত ভাবে দাবি করা হচ্ছে এ দেশের শত্রু সন্ত্য লারমার জনসংহতির JSS সশস্ত্র শাখার খৃষ্টান ধর্মালম্বী লোকজন দের। উক্ত সংগঠন টি থেকে বেশকিছু দিন যাবৎ ওমর ফারুক ও তার পরিবার কে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বলে জানিয়েছেন ওমর ফারুকের পরিবার।
এ ঘটনা টি ঘটে গেলো প্রায় একদিন হয়ে গেলো কিন্তু এ নিয়ে নিউজ / প্রতিবেদন হয় নি কোনো মিডিয়া তে, চুপ করে আছে মাথামোটা সাংবাদিকগণ। আজ ওমর ফারুক একজন 'হুজুর' ইসলামিক একজন ব্যাক্তি বলে তলে পড়ে আছে এই ইস্যু টি। কিন্তু তার বিপরীতে একজন সিনেমার অশ্লীল নায়কা পরিমনির ইস্যু টি নিয়ে খুব মাতামাতি করছে মিডিয়া মুখী লোকজন। পরির অনেক অশ্লীল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় সংগ্রহীত ভাবে রয়ে আছে। এটি অনেকেরই জানা। তবুও সে একজন আলোচিত ব্যাক্তি। হায়রে মানুষ.! আফসোস হয় খুব। প্রিয় দর্শক আপনারা আওয়াজ তুলুন প্রতিবাদী হয়ে উঠুন। নয়তো অন্ধকার রজনী খুব দূরে নেই, যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে আপনার সাথেও এমন বিষয়। তাই আওয়াজ তুলুন, প্রতিবাদ করুন আপনার যায়গা থেকে।
প্রসঙ্গ কথা:
শুধু নওমুসলিম ওমর ফারুকই নয় বরং তার মতো আরো অনেক মুসলিম এরকম ভাবে নির্যাতনের শিকার সারা বিশ্বজুড়ে। আজ গোটা পৃথিবীতে মুসলিম দের বন্ধু পরিচয়ে শত্রুর সংখ্যা বেড়ে গেছে।
প্রত্যেক টা জায়গাতে আজ বিশ্ব মুসলিম রা নিপিড়ীত, লাঞ্চিত। সব খানেই মুসলিম দের শত্র ওতপেতে আছে। যারা ( ইহুদি নাসারা-খৃষ্টান রা) মুসলিম দের বন্ধত্বের কথা বলে মুলত তারাই প্রকাশ্য শত্রু। তারা কখনই মুসলিম দের ভালো চায় না।
আল্লাহ তায়ালাই তো কোর'আনে বলে দিয়েছে যে, ওরা কখনোও তোমাদের বন্ধ হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তোমরা তাদের দলের মতের, ধর্মের দিকে না ফিরো। প্রিয় পাঠক, আল্লাহর কথা তো অবশ্য অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যদি আপনি মুসলিম দের অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকেন। তাহলে বিষয় টি ভালো ভাবে চিন্তা করুন। ফিলিস্তিনে মুসলিম রা নির্যাতিত, বাহরাইনে, রাখাইনে, মালি - সোমালিয়া, চীনে, ভারতে বার্মায়, ইরাক, ইরান লেবানন ইত্যাদি ইত্যাদি রাষ্ট্রে।
Oh no . Likhata porar por monta kharap hoye gelo
উত্তরমুছুনজী, আসুন আমরা প্রতিবাদী হই।
মুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন