রিপোর্ট প্রিন্ট

শেয়ার করুনঃ



বাংলাদেশর রাজনীতিতে আলেমদের অবস্থা কি ছিলো।


বাংলাদেশর রাজনীতিতে আলেমদের অবস্থা কি ছিলো।

মুহাম্মদ ইমরান হোসাইন। 

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আলেমদের অনেক কৃতিত্ব রয়েছে, রয়েছে অনেক সংগ্রামের ইতিহাস। 

এদেশে আলেম সমাজ ভেসে আসে নাই। 

বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব ছিলো,

উপমহাদেশের বিখ্যাত আলেমগন।

এখন আসেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা কেমন ছিলো আলেমদের সামান্য একটু আলাপ করি।

উল্লেখ যোগ্য 

মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী 

যিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের “আস্ সালামু আলাইকুম” বলে সর্বপ্রথম পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতার ঐতিহাসিক ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম।


আল্লামা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী

(হাফেজ্জী হুজুর নামেও পরিচিত;)


তিনিই বাংলাদেশের প্রথম ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব যিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

 তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী ইসলামি পণ্ডিত ও সুফিবাদী রাজনীতিবিদ

তিনি খিলাফত কায়েমের লক্ষ্যে সকলকে তওবা করার ডাক দিয়ে দুইটি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।

মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ

আওয়ামী মুসলিম লীগের দ্বিতীয় সভাপতি ছিলেন, অনেক সহমত ভাই, সহ সভাপতি ভাই মনে হয় তার নামও শুনেন নাই।তিনি পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে অতীতে অনেক ওলামাই কেরাম মন্ত্রী ছিলেন, সংসদ সদস্য ছিলেন। 

যেমন,


জামাতে ইসলামের

মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী সাবেক কৃষি মন্ত্রী। নতুন করে জামাতে ইসলামের পরিচয় বলার কিছু নেই, অনেক চেতনা ধারণ কারিরাই তাদের মাথার উপর ভর করে ক্ষমতা গিয়েছে, ইতিহাস তাই বলে।


জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম

মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস

 ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী। শুনেন এই দীর্ঘ রাজনীতি ইতিহাসে মুফতি সাহেব এত বড় দায়িত্ব থাকার পরেও,তার ঢাকায় নিজস্ব কোন বাড়ি ছিলো না। 

 আর বর্তমানে একটা মেম্বারের যে পরিমাণ অর্থ সম্পদের মালিক চিন্তা করা যায় না। 


ইসলামী ঐক্যজোটের  

 মুফতি ফজলুল হক আমিনী তিনি ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয় । 

বাঙালি মুসলমানদের রাজনৈতিক রাহাবর ছিলেন তিনি। আমিনী সাহেব এর বাংলাদেশে জাতীয় রাজনৈতিক অবস্থা প্রধান মূলধারার ফ্যাক্টর ছিলো। 


আরো অসংখ্য আলেম ওলামা সংসদ সদস্য হয়েছে। 

আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেব 

মুফতি শহিদুল্লাহ সাহেব 

আরো অনেকেই । 


শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক সাহেব 

শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফী সাহেব 

আল্লামা সৈয়দ ফজলুল করিম পীর সাহেব চরমোনাই 

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সাহেব 

মুফতি নূর হোসেন কাসেমী সাহেব 


তারা হয়তো সংসদ সদস্য, বা মন্ত্রী হয় নাই। 

জাতীয় রাজনীতি কি প্রভাব ছিলো তাদের। 

আমরা সকলেই জানি।


এখানের সকল ওলামাই কেরাম দরস অর্থাৎ ক্লাস সঠিক ভাবে হক আদায় করতেন।আবার রাজনীতি করতেন, মাদ্রাসা পরিচালনা করতেন। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পরিচালক করতেন।

বিভিন্ন জুলুম নির্যাতন, বাতিলের মোকাবেলা করেছেন। 

এটার নামি আলেম দরসে শায়খুল হাদীস। 

তাসাউফের ময়দানে পীর সাহেব। 

রাজনীতির মাঠে পুরো দমে নেতা। 

এদেশে আলেম ওলামা রাজনীতি করেছে,

করছে,করবে। ইনশাআল্লাহ। 

কবি নজরুল ইসলামের শুরে শুরু মিলাতে চাই। 

ফাঁসির মঞ্চে গেয়ে গেল যারা জীবনের জয়গান,  

আসি অলক্ষ্যে দাঁড়ায়েছে তারা, দিবে কোন্ বলিদান  

আজি পরীক্ষা, জাতির অথবা জাতের করিবে ত্রাণ?  

দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, কান্ডারী হুশিয়ার!  

উহারা প্রচার করুক হিংসা বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ;  

 আমরা বলিব সাম্য শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ।

0/আপনার মতামত জানান