এক বাড়িতে আগুন লেগেছিল গৃহিণী বুদ্ধি করে তাড়াতাড়ি সব গয়না একটা বাক্সে ভরে ঘরের বাইরে বের হলেন দরজায় এসে দেখলেন একদল পুরুষ আগুন নেভানোর চেষ্টা তিনি তাদের সামনে বের না হয়ে আবাব ঘরের ভেতরে গিয়ে খাটের নিচে বসলেন সেই অবস্থায় পড়ে 'মবলেন তবু পুরুষের সামনে বের হলেন না
২. এক ভদ্রমহিলা ট্রেন বদলের সময় বোরকায় জড়িয়ে ট্রেন আর প্লাটফরমের মাঝখানে পড়ে গেলেন স্টেশনে সে সময় তার গৃহপরিচারিকা ছাড়া আর কোনো নারী ছিল না স্টেশনের কুলিরা তাকে তোলার জন্য এগিয়ে এলো কিন্তু গৃহপরিচারিকা বললেন, “খবর্দার কেউ বিবি সাহেবার গায়ে হাত দিয়ো না " কিন্তু সে একা অনেক টানাটানি করেও কিছুতেই তাকে ভুলতে পাবল না প্রায় আধাঘণ্টা অপেক্ষা করার পর ট্রেন ছেড়ে দিল ট্রেনের চাকার তলায় পিষে তার দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল
৩. একজন ডাক্তার গিয়েছেন রোগী দেখতে ভদ্রমহিলাব নিউমোনিয়া হয়েছে। তিনি ছিলেন পর্দার আড়ালে। ডাক্তার বললেন, স্টেথিস্কোপ লাগিয়ে ফুসফুসের অবস্থা দেখতে হবে; আমি পিঠের দিক থেকে দেখে নেব কিন্তু ডাক্তারকে বলা হলো, স্টেথিস্কোপের নল গৃহপরিচারিকার হাতে দিতে তিনি যেখানে যেখানে বলবেন, পরিচারিকা সেখানে নল রাখবে তিনি পিঠে রাখবে বলে স্টেথিস্কোপের নলকে পর্দার ওপারে পাঠালেন অনেকক্ষণ পরেও কোনো শব্দ শুনতে না পেয়ে পর্দা একটু সরিয়ে দেখলেন, নলটা কোমরে রাখা হয়েছে। তিনি বিরক্ত হয়ে ফিরে এলেন
৪. জমিদার পরিবারের বিশ পঁচিশজন মোটা মোটা কাপড়ের বোরকা পরা নারী হজে যাবার পথে কলকাতা স্টেশনে এলেন তাদের স্টেশনের ওয়েটিং রুমে বসালে লোকে দেখতে পাবে তাই প্লাটফরমে উপুর করে বসিয়ে মস্ত ভারী শতরঞ্জি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হলো। তাদের সঙ্গে থাকা হাজি সাহেব একটু দূরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিতে লাগলেন তারা ওই অবস্থায় কয়েক ঘণ্টা থাকার পরে ট্রেন আসার সময় হলো। রেলের একজন কর্মচারী হাজি সাহেবকে তার আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে বললেন হাজি সাহেব বললেন, ওইসব আসবাব না, বাড়ির মেয়েরা। কর্মাচারীটি আবাবও একটি ‘বস্তায়’ লাথি দিয়ে ওগুলো সরাতে বললেন। ভেতরে থাকা মেয়েরা লাথি খেয়েও টু শব্দ করেনি।
৫. একবার এক লেডিস কনফারেন্স উপলক্ষে রোকেয়া আলীগড় গিয়েছিলেন সেখানে এক ভদ্রমহিলার বোরকার প্রশংসা করায় তিনি বোরকা সম্পর্কে নিজের জীবনের কিছু অভিজ্ঞতার গল্প বললেন। একবার এক বাঙালি ভদ্রলোকের বাড়িতে বিয়ের নিমন্ত্রণে গিয়েছিলেন সেখানকার ছেলে মেয়েরা তাকে বোরকাসহ দেখে ভয়ে চিৎকার করে পালিয়েছিল। তিনি একবার কলকাতায় এসে আরও কয়েকজন বোরকাপরা নারীর সঙ্গে খোলা মোটরগাড়িতে পথে বের হয়েছিলেন। কলকাতার পথের ছেলেরাও তাদের ভূত মনে করে ছুটে পালিয়েছিল।
কাহিনি বলা শেষ হলে রূপা বলল, সেই সময় সব নারী কিন্তু অবরোধবাসিনী ছিল না। রোকেয়ার কথায় আমরা ‘তামাশাওয়ালী' নারীদের কথা পেয়েছি, তারা নিশ্চয়ই লোকের বাড়ি ঘুরে ঘুরে মজার কিছু দেখাতেন। গণেশ বলল, ঠিক কথা, আমরা তো সেই সময় লেডিস কনফারেন্স হওয়ার কথাও পেলাম খাদিজা বলল, ছোটবেলায় অবরোধবাসিনী হিসেবে কাটালেও বড় হয়ে রোকেয়া কিন্তু অনেক কাজ করেছিলেন! গৌতম বলল, সে জন্য.....
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন