রিপোর্ট প্রিন্ট

শেয়ার করুনঃ



হেফাজতের নেতা মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজী কে কারাগারে নির্যাতনের পর গুম করা অভিযোগ।


উসামা নিউজ ২৪ ডেস্ক

বাংলাদেশের একটি অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম এর একজন নেতা ও দেশের একজন প্রখ্যাত আলেমে রব্বানী। ইসলামিক চিন্তাবিদ লেখক, গবেষক,  ও ওয়ায়েজ আল্লামা মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজী। 

তিনাকে জেল হাজত থেকে গুম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশের সোশ্যাল মাধ্যম গুলো তে। এ অভিযোগ বেশ কিছু দিন থেকেই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এ বিষয় টি কতো টা বাস্তবসম্মত তা জানতেও উঠে পরে লেগেছে তার পরিবারের লোকজন ও তার অনুসারীরা। 

গতো কয়েক মাস আগে হেফাজতের মিথ্যে মামলার নাটক সাজিয়ে গ্রেফতার করা হয় মুফতী সাখাওত হোসেন রাজী কে এমনি কি বিভিন্ন থানায় দফায় দফায় তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। একজন কোরানের ধারক বাহক কে এমন পাশবিক নির্যাতন করা হচ্ছে তার পরিপূর্ণ ফলাফল নিশ্চিত চুরান্ত। মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজী কে রিমান্ড শেষে কোথায় নেয়া হয়েছে বা কোন করা'গারে নেয়া হয়েছে তা এখন অব্দি জানেন না তার পরিবার পরিজন। অনেক খোঁজ নেবার জন্য অনেক থেকে অনেক চেষ্টা চালিয়েছে তার পরিবার স্বজন রা।  কিন্তু পাওয়া যায় নি সাখাওত হোসেন রাজী কে। 

Osama News 24

গতো ৫ই মে সর্বশেষ পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে সাখাওত হোসেন রাজী সাহেবের তবে এর পর থেকে  কোনো যোগাযোগ হয়নি তার সাথে। কারা কর্তৃপক্ষ এর কাছে রাজী সাহেবের পরিবার  জিজ্ঞাসা করেছেন যে, আগে তো নিয়মিত ভাবে সাপ্তাহে একবার এর জন্য হলেও প্রত্যেক আসামি রা বাসায় পরিবার পরিজন এর কাছে  ফোন দিতো কিন্তু এখন তো    অনেকেই ফোন দিচ্ছে না  কিন্তু কেন.? 

এ বিষয় টি জানতে চাইলে বাংলাদেশ কারা কর্তৃপক্ষ মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজী সাহেবের পরিবার পরিজন কে বলল যে, সরকারি ভাবে হেফাজতের নেতাদের উপর,  উপর থেকে নিষেধ আছে,  সাপ্তাহে একবারও যেন স্ত্রী বাল বাচ্চা বা ফ্যামিলির লোকজন দের সাথে কথা না বলতে পারে। 

এছাড়াও তার পরিবার পরিজন এর একজন তার ফেসবুক একাউন্টে জানান ❝আমরা বিভিন্ন চেষ্টা প্রচেষ্ঠার মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম  আল্লামা মুফতি সাখাওয়াত হোসেন  রাজী সাহেব পুরাতন ঢাকার  কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে রাখা হয়েছে।  সেই জানা তথ্যের উপর নির্ভর করে আজ আমরা পুরাতন ঢাকার  কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়েছিলাম প্রয়োজনীয় কিছু আসবাব ও কিছু  টাকা পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য এবং সাক্ষাত করার জন্য❞

কিন্তু সেখানে যাওয়া পর সেখান কার কারা কর্তৃপক্ষ ও মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজীর সন্ধান দিতে পারেনি এবং এখানে আছে কি না তা এখনোও তাদের অজানা। দুঃখ ও ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে ফিরে আসে মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজীর পরিবারের সদস্যরা কিন্তু আসার পুর্ব কারা কর্তৃপক্ষ এর কাছে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে আসে, এবং বলে আসে যদি তাকে পান তাহলে তার কাছে পৌছে দিবেন।

এছাড়াও তার পরিবার পরিজন আরো বলেন  ❝লিষ্টি বের করে দেখলো সেই লিষ্টিতে তার নাম নেই। আসলে আমরা একটা টানাহেঁচড়ার মধ্যে পড়ে গেছি কেরানীগঞ্জ গেলে ওরা বলে কাশিম'পুর কারাগারে আছে আর কাশিমপুর গেলে ওরা বলে কেরানীগঞ্জ কারাগারে আছে। কোথায় আছে কোন কারাগারে আছে এই সঠিক তথ্যটুকু দিচ্ছে না❞


আহ্ আফসোস.!  কতই না নিষ্ঠার পরিচয় দিচ্ছে ওরা, একজন কারারুদ্ধ আলেম কে এভাবে কষ্ট দিচ্ছে তাগুত প্রশাসনের লোকজন। 


0/আপনার মতামত জানান