রিপোর্ট প্রিন্ট

শেয়ার করুনঃ



আবারও কঠোর ও ভয়াবহ লকডাউন। আগামী সোমবার থেকে সারাদেশে সাত দিনের জন্য কঠোর লকডাউন দিয়েছে সরকার। Osama news 24

( উসামা নিউজ ২৪ ) 

চলছে করোনা ভাইরাস নামক আতংক, ছড়িয়ে পরেছে পুরো পৃথিবী জুড়ে, বেচে নেই অনেক মানুষ.!  লাশের গন্ধে ছেয়ে গেছে পুরো পৃথিবী, তাই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের মানুষের মঙ্গল ও ভালোর কথা ফিকির করে  আগামী (২৮জুন) সোমবার থেকে সারা- বাংলাদেশে সাত দিনের জন্য  কঠিন থেকে কঠিন লকডাউন দিয়েছে সরকার - বঙ্গ কন্যা শেখ হাসিনা। 

গত শুক্রবার (২৫জুন) রাতে গণমাধ্যম কে এ বিষয় টি  জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের প্রাইম তথ্য কর্মকর্তা সুরত কুমার। 

তিনি জানান এ লকডাউনে কেউ যেন সরকারের দেয়া নিয়ম নীতি গুলো অমান্য না করে, নতুবা ভয়াবহ শাস্তির আওতায় আনা হবে। এছাড়াও তিনি আরো বলেন এ লকডাউনে যা যা নিষিদ্ধ থাকবে তা হলো - জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বেরুতে পারবে না। বের হলেই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবং তিনি বলেন - জরুরী পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল ব্যাতিত অন্যান্য যে কোনো যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ।  কেউ যদি তা মানতে রাজি না হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে। এবং তিনি আরও বলেন - জরুরী পরিষেবা ব্যাতিত সরকার অফিস পাশাপাশি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। এছাড়াও 

বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন। 

তিনি আরও বলেন এ লকডাউন এ যে সব বিষয় নিষিদ্ধ থাকবে না তা হলো - গণমাধ্যম কর্মীরা এই ভয়াবহ কঠোর লকডাউন এ বের হতে পারবে। (কিন্তু এ ব্যাপার টি নিয়ে অনেকই ভাবছেন যে গণমাধ্যম কর্মীরা যদি এই কঠোর লকডাউন এ বের হতে পারে তাহলে দেশের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ কেন পরিপূর্ণ সাস্থ্যবিধী মেনে নিজেদের স্ত্রী সন্তান দের জীবন বাচাতে জীবিকার জন্য বাহিরে বের হতে পারবে নাহ।) তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার আরও বলেন এম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজের জন্য যানবাহন চলাচল করতে পারবে। 

তবে শুধু সাত দিন নয় প্রয়োজনে মাসের পর দেয়া হবে লকডাউন।  কেনই বা লকডাউন দেবে না সরকার, সরকার তো জনগণের ভালোর কথা চিন্তা করেই দিয়েছে এই লকডাউন। এমনটাই ভাবছেন দেশের চেতনাশীল ব্যাক্তিরা।


প্রিয় পাঠক, সরকার  এই লকডাউন দিয়েছে বেশ ভালো কথা কিন্তু এই লকডাউনের জন্য দেশে কতো গুলো ক্লিনিক সহজ করে রেখেছেন.? কতো গুলো অক্সিজেন মজু'দ করেছ্রন কতজন গরীবের ভাতের যুগার করেছে তা এখনো অজানা।  এই লকডাউনে তো খুব ভালোই থাকবে দেশের বিত্তবান শ্রেণীর টাকা ওয়ালা ব্যাক্তি রা,  চেয়ারম্যান, মেম্বার, এম'পি মন্ত্রী রা ও থাকবে খুব ভালো।


  সারাদিন এসির ভেতরে বসে বসে লকডাউন বাড়িয়ে দেয়ার পরামর্শ দেবেন তারা। কিন্তু এ সুযোগে অভাব অনাটনে ঝড়ে যাবে অনেক গরিব দুখী মানুষের প্রাণ।  এখন মানুষ আর সহ্য করতে না পেরে জীবিকার তাগিদে এই লকডাউনিউ বেড়িয়ে পরছে রিকশা ভ্যান নিয়ে, তবুও এসে যাচ্ছে দাজ্জালিয় সভ্যতার বাধা বিপত্তি।  কান্নায় ভেঙ্গে পরছেন অনেক শিশু দুর্ভাগা পিতা। প্রশাসনিক ভাবেও চলছে তান্ডব।  ভেঙ্গে দেচ্ছে ধার করে আনা টাকার রিকশা/ভ্যান। আহ আফসোস.!  

0/আপনার মতামত জানান