
রাজধানীর মগবাজার অর'লেস এলাকায় আড়ং এর শোরু'মের পাসে একটি ভবনে বিকট আওয়াজের পর আগুনের ঝল'কানি দেখা যায়, সাথে সাথেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে ও বিস্ফোরণের সাথে সাথেই কেপে উঠে পুরা শহর, রাজধানীর হাতির'ঝিল এলা'কা থেকেও এ বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা রা।
এ ঘটনা টি ঘটে আজ (২৭জুন) রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। তবে প্রথমে কিসের জন্য বিস্ফোরণ তা জানা যায়নি কিন্তু তার একটু পর পরেই জানা গেছে যে একটি এসি বিস্ফোরণ হয়েছে বা অনেকেই আবার ধারণা করছে গ্যাস । এ ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ৫০ জন। আহত দের ঢাকা মেডিকেল নিয়ে ইমার্জেন্সিতে চিকিৎসাধীন রাকগা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তা রা। আর নিহত হয়েছে ৭ জন আরো ২৭ জনের মতো আশঙ্কায় আছে। কিন্তু আহত নিহত দের পুরো সংখ্যা সঠিক ভাবে এখনো জানা যায়নি।
বিকট আওয়াজে বিস্ফোরণের পর তার আশপাশের বিভিন্ন ভবন কম্পিত হয়ে উঠে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে অনেক ভবন, এবং সে ভবন এর পাশের কয়েকটি ভবনের বেশকিছু দরজা-জানালা'র কাঁচ ভেঙ্গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শী রা। কেমন যেনো ভুমিকম্পে র মতো কেপে উঠেছিলো পুরো শহর জুড়ে, বিস্ফোরণের সময় আগুন ছিটকে গিয়ে রাস্তার পাশে একটি বাসে আগুন লেগে যায়। এতে করে অগ্নি কান্ডের রুপ নেয় আরো ভয়াবহ। মুহুর্তের মধ্যে'ই ছড়িয়ে যায় আতঙ্কের ছায়া।
বিস্ফোরণ টি যে ভবনে হয় সেই ভবনের নির্মাণ করা হয়ে'ছিলো ১৯৭৯ সালে। এই পুরাতন ভবনের বাকি অংশ টুকুও আছে আশঙ্কা যুক্ত।
ঘটনা টি ঘটার সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিট পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পর রাস্তার পাশে অনেক গুলো এন'আই'ডি কার্ড ও কিছু ড্রাইভিং লাই'সেন্স সহ টাকা পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন ঘটনা স্থলের একজন সাংবাদিক। টাকা পয়সা ও বাকি আসবাব গুলো নিয়ে চলে যাচ্ছিলো গুলোঅনেক লোকজন কিন্তু সেই কার্ড ও লাইসেন্স ও টাকা তাদের কাছ থেকে নিয়ে মমগবাজার থানায় জমা দিয়ে আসেন সেই সাংবাদিক।
তবে আহত দের অনেকের পরিবার পরিজনদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সহায়তা করা হচ্ছে ও পাশাপাশি নিহত দেরও কিন্তু এখনো অনেকের পরিচয় পুরো পুরি পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল লোকজন। সোমবার (২৪জুন) মগবাজার বিস্ফোরণের একজন আহত ব্যাক্তি বর্তমান ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছেন বাংলাদেশের ইসলামিক ব্যাক্তিত্ব আলেমে দীন ও ইসলামিক দাবানল শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক ও (Radio dhoni) রেডিও -ধ্বনীর আর'জে মুস্তাফিজুর রহমান।
তিনি ছিলেন একজন টকবগে যুবক, যৌবনের চুরান্ত সীমায় পৌছে ছিলেন তিনি, বার্দ্ধক্যের দারপ্রান্তেও পৌছতে পারেন নি তিনি । আহ কিভাবে একটি ট্রাজেডি তে এই যৌবন বয়সেই দুনিয়ায় মায়া ত্যাগ করে চলে যাবেন একথা গুলো কি সে ভেবে ছিলো? শুধু কি আর'জে মুস্তাফিজুর রহমান? না বরং তার মতো আরো অনেক যুবক। প্রিয় পাঠক, সময় থাকতে আপনারা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো ভাবুন। মিলিয়ে দেখুন জীবনের হিসাব। কি করেছেন পরপারের জন্য। আপনি কি ভাবছেন আপনি বৃদ্ধ হয়ে দুনিয়া ছাড়বেন? না এমন টা ভাববেন না, কারণ এটি একটি বোকামি চিন্তা ভাবনা।
তাই সময় থাকতে সবাই সচেতন হয়ে যান। কারণ জীবন তো একটাই এ জীবনে আপনি পরপারের জন্য যা কিরে যাবেন তাই আপনি পেয়ে যাবেন। তাই এখনো সময় আছে বদলাবার
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন