
রাসুল সাঃ এর একটি অলৌকিক ঘটনা বা মু'জেজা।
হাদিস শরিফে আল্লাহর পয়গম্বর মুহাম্মদ সাঃ ইরশাদ কত্রছেন যে, তিনি একদা আল্লাহর পয়গম্বর রাসুল সাঃ যুদ্ধ থেকে ফেরার পথে অত্যন্ত ক্লান্তিকর অবস্থায় একটি গাছের ছায়া তলে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। রাস্তার পাশ দিয়ে একজন অপরিচিত মুসাফির লোক অতিক্রম করছিলেন। হঠাৎ.!
সেই অপরিচিত মুসাফির ব্যাক্তিটি আল্লাহর পয়গম্বর মুহাম্মদ সাঃ এর সামনে আসলেন এবং তার কোষ থেকে তলোয়ার বের করে বলতে লাগলেন। হে মুহাম্মাদ.! এখন তোমাকে আমার হাত থেকে কে বাঁচাতে আসবে।
আল্লাহর পয়গম্বর মুহাম্মদ সাঃ তিনি এক বাক্যে নির্ভয়ে বলে দিলানে 'আল্লাহ' অর্থাৎ আমার আল্লাহ তায়ালাই আমার জন্য কাফি। আমি কেবলমাত্র এক আল্লাতে বিশ্বাসী। তিনার হাতেই জীবন, তিনার হাতেই মৃত্যু। একমাত্র তিনিই আমাকে বাঁচাবেন।
সেই অপরিচিত মুসাফির লোক তি রাসুল সাঃ এর মুখ থেকে এসব নির্ভীক বাণী শোনার পর হতভম্ব হয়ে গেলেন। উল্টো নিজেই মুহাম্মদ সাঃ এর সামনে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে গেলেন। হুজুর সাঃ এর অমায়িক সাহসীকতা দেখে তিনি ভয়ে কাপতে আরম্ভ করতে লাগলেন। তার হাত থেকে কোষ মুক্ত তরবারি টি মাটিতে পরে গেলো।
তখন হুজুর সাঃ তাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলেন হে পথিক এখন তুমি বলো কে তোমাকে এখন আমার হাত থেকে বাঁচাবে। সে লোক টি তখন কান্নাস্বরে কাকুতি মিনতি করতে লাগলো ও মাফ চাইতে আরম্ভ করল। তখন
আল্লাহর পয়গম্বর মুহাম্মদ সাঃ তাকে মাফ করে দিলেন। অত:পর সেই লোক টি মুহাম্মাদ সাঃ এর উত্তম আদর্শ-আখলাক দেখে বলতে লাগল হুজুর.! আপনি আমাকে আপনার আদর্শে আদর্শিত করুন আমাকে কালেমা পড়ান আমি মুসলিম হতে চাই।
অত:পর আল্লাহর পয়গম্বর মুহাম্মদ সাঃ সেই কাফের অপরিচিত মুসাফির লোকটা কে কালিমা পড়িয়ে মুসলিম করে দিলেন।
প্রিয় পাঠক ভাই ও বোন.!
আসুন আমরাও রাসুল সাঃ এর মতো উত্তম আদর্শ গ্রহণ করি. তথা খুলুকে আজীম এর গুনাগুন অর্জন করি। মানুষ কে ভালো বাসতে শিখি ও ক্ষমা করতে শিখি আসুন আমরা সবার সাথে ভালো আচরণ করতে শুরু করি। মানুষ কে ভালো বাসি ও ভুল গুলো ধরিয়ে দিয়ে তাকে সংশোধন করতে শেখায়। তাহলে আমরাও হবো সোনার মানুষ।
আল্লাহ তায়ালা যেন উপরে উল্লেখিত কথা গুলোর উপর সবাই কে -ই আমল করার তাওফিক দান করুন আমীন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন