রিপোর্ট প্রিন্ট

শেয়ার করুনঃ



নওমুসলিম ওমর ফারুক হত্যার পর এবার টার্গেট পাহাড়ি মুসলিম দের উপর - উসামা নিউজ 24

( উসামা নিউজ ২৪ ) 

সন্ত্রাসী দের আতংকে পাহাড়ি মুসলিম। আশ্রয় নিচ্ছে অন্যত্র।

 সাম্প্রতিক সময়ে নওমুসলিম ওমর ফারুক হত্যাকাণ্ডের বিষয় টি সবাই অবগত,  এ নিয়ে এখনো চলছে আলোচনা-সমালচোনা চলছে টকশো/ডিবেট থেমে নেই প্রতিবাদ মুখি দের আওয়াজ।  কিন্তু এ বিষয় টি নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা/দায়িত্বশীল দের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা চোখে পড়েনি দেশবাসী দের। এখনো ছড়িয়ে আছে এই ভয়ানক হত্যাকাণ্ডের বিশ্রী আভাস।  

নওমুসলিম ওমর ফারুকের হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই  পার্বত্য চট্টগ্রামের মুসলিম দের ভেতর আবারও ছড়িয়ে পড়েছে আতংকের ছায়া। অত্যন্ত ভয়-ভীতিকর অবস্থা নিয়ে বাস করছেন পাহাড়ি অঞ্চলের মুসলিমরা।  হুমকি ধামকির শিকার হচ্ছেন অনেক মুসলিম পরিবার। 

নিজেদের প্রাণ বাচাতে ( জেএসএস ) জনসংহতি এর সন্ত্য লার্মার সন্ত্রাসী দের ভয়ে বসতভিটা ছেড়ে ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন পাহাড়ি ত্রিশ টি মুসলিম পরিবার। 

এমনকি বাজারে ঘটে ও মসজিদেও আশ্রয় নিচ্ছেন মুসলিম রা। বাজারের দোকানী রা যথা সম্ভব তাদের খাবারের ব্যবস্থা করছে বলে জানা গিয়েছে।  

পূর্বঘটনায় ওমর ফারুক কে হত্যার পর কেমন যেনো এবার টার্গেট স্থানীয় মুসলিমরা। এ নির্মম নজিরবিহীন জুলুমের শেষ কোথায়.? মুসলিম হয়ে মুসলিম দেশে নির্ভয়ে বাস করতে পারছে না তারা,  এর দায়ভার কার উপর বর্তায় (!) সরকারের কি এসব চোখে পড়ে না.? নাকি তারা মুসলিম এটাই তাদের অপরাধ. (!) 

পাহাড়ি নওমুসলিম দের জীবনের ঝুঁকি ও তাদের বিপদে সবাই এগিয়ে আসুন প্রয়োজনে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। সোশ্যাল মাধ্যমে গুলো তে বিষয় গুলো ছড়িয়ে দিন। না হয় তাদের বিপদ অতি নিকটে। 

প্রিয় পাঠক ভাই ও বোন.! 

ভেবে দেখুন কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভাবে নওমুসলিম পাহাড়ি ইমাম ওমর ফারুক এর ইসলাম গ্রহণ এর বিষয় ও তার দাওয়াতে প্রায় ত্রিশ টি পরিবার মুসলিম হওয়ার বিষয় বিষয় টি গ্রহণ করেছে মিশনারী রা। তা মিশনারী রা কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভাবে চিন্তা ভাবনা করছে মুসলিম দের ধ্বংস করে তাদের মিশন পরিপূর্ণ ভাবে সফল করতে।

তারা আজ উঠে পরে লেগেছে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন এর লক্ষ্যে, তারা এদেশ টা কে খৃষ্টরাজ্যে পরিনত করতে চাচ্ছে বহু আগে থেকেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই তাদের টার্গেট ছিলো তবে তারা আড়ালে আড়ালে চুপিসারে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে আরম্ভ করে। তারা দু হাজার বারো সালে প্রায় এট'টি পারসেন্ট সফল হয়েছে, কিন্তু এখন তো অনেক বেশি সফলতার পথ দেখছে খৃষ্টান মিশনারী রা। 

প্রিয় পাঠক ভাই ও বোন, আসুন আমরা সবাই সচেতন হই। তা না হলে আমরা খুব অচিরেই বিপদ এর সম্মুখীন হবো।  

0/আপনার মতামত জানান